ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী একটি পরিবার স্বেচ্ছায় ও শান্তিপূর্ণভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। ধর্মীয় অনুশাসন ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা নিজ ইচ্ছায় কালিমা পাঠের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। গত ১৮ জুন, স্থানীয় এক হুজুরের কাছে কালিমা পাঠ ও বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামার মাধ্যমে ধর্মান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
নতুন ধর্ম গ্রহণ করা পরিবারের প্রধান অনিল দত্ত বর্তমানে আব্দুর রহমান নামে পরিচিত। তাঁর স্ত্রী অনিমা দত্ত এখন ফাতিমা, এবং ছেলে উত্তম কুমার এখন পরিচিত হচ্ছেন নুরনবী নামে। জন্মসনদ ও এফিডেভিট সূত্রে জানা যায়, তাদের বাড়ি ভান্ডারিয়া পৌর এলাকার গাজীপুর গ্রামে।
জানা যায়, এই পরিবারের ছোট ছেলে গৌতম দত্ত ২০২২ সালে প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তাঁর নাম নুর মোহাম্মাদ। ছোট ছেলের মাধ্যমে পরিবারটি ইসলামের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে মনেপ্রাণে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকলেও নানা সামাজিক কারণে পরিবারটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সময় নেন।
নুর মোহাম্মাদ বলেন,
“ছোটবেলা থেকেই মুসলিম বন্ধুদের সঙ্গে বড় হয়েছি। ইসলামী সংগীত, গজল এবং ওয়াজ শুনে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ জন্ম নেয়। ২০২২ সালে স্থানীয় মসজিদের ইমামের কাছে কালিমা পাঠ করে এবং নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। এরপর আমার বাবা, মা ও বড় ভাইও একই ধর্মে দীক্ষিত হন। এখন আমরা নিয়মিত নামাজ পড়ি এবং মুসলিম ভাইদের কাছ থেকে সহযোগিতাও পাচ্ছি।”
এ বিষয়ে আদালতে কর্মরত আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান,
“আব্দুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা নিজ ইচ্ছায় নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে হলফনামার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তার স্ত্রী ও ছেলের নাম যথাক্রমে ফাতেমা ও নুর নবী।”