নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশে পড়াশোনা বা কাজের জন্য শিক্ষাগত সনদ যাচাই এতদিন ছিল সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল ও জটিল প্রক্রিয়া। এ জন্য একাধিকবার দূতাবাস ও বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে হতো, যা অনেকের জন্য চাপ, বিলম্ব এবং অতিরিক্ত খরচের কারণ হতো। অনুমান করা হয়, যদি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট অনলাইনে যাচাই করা যেত, তাহলে বছরে অন্তত ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হতো।
অবশেষে এ প্রক্রিয়াকে সহজ ও আধুনিক করতে বাংলাদেশে চালু হলো সম্পূর্ণ অনলাইন সনদ যাচাই এবং অ্যাপোস্টিল (Apostille) সিস্টেম। এখন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাবলিক ডকুমেন্ট যাচাইয়ের জন্য অ্যাপোস্টিল সনদ প্রদান করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও নাগরিকরা অনলাইনে নিজেদের শিক্ষাগত কাগজপত্র ডিজিটালি যাচাই করাতে পারবেন।
সুবিধাগুলো
- বিদেশি দূতাবাস বা কর্তৃপক্ষের কাছে শারীরিকভাবে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না, ফলে সময় ও শ্রম বাঁচবে।
- ম্যানুয়াল সত্যায়ন ও যাচাই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত অতিরিক্ত ফি কমে যাবে।
- ডিজিটাল যাচাইয়ের মাধ্যমে জাল সনদ ও প্রতারণা প্রতিরোধ করা যাবে।
- বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি ও অভিবাসনের প্রক্রিয়া আরও সহজ ও নির্ভরযোগ্য হবে।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ
এই ডিজিটাল ব্যবস্থা ব্যয়বহুল ও ঝামেলাপূর্ণ কাগজপত্রের প্রক্রিয়া দূর করে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে ডকুমেন্ট যাচাইয়ের সুযোগ দেবে। পাশাপাশি জালিয়াতি রোধ করবে এবং প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা বাড়াবে। তরুণদের বৈশ্বিক সুযোগ গ্রহণ ও স্বপ্ন পূরণে এটি বড় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।