নিজস্ব প্রতিবেদক:- ঢাকা, ২১ জুন (৭ আষাঢ়):
নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “সমুদ্র ও নাব্য জলপথের উন্নয়নে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও নটিক্যাল চার্ট প্রণয়নে আধুনিক পদ্ধতি ও অভিন্ন মান নিশ্চিত করা হবে।”
আজ রাজধানীর বিজয় সরণির মিলিটারি মিউজিয়ামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিআইডব্লিউটিএ-এর যৌথ উদ্যোগে ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফিক দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু অভিযোজন, নিরাপদ নৌপরিবহন, ব্লু ইকোনমি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সঠিক হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য ও সামুদ্রিক সম্পদের কার্যকর ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে চারটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে, যার মধ্যে মাতারবাড়ী একটি গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া দেশে রয়েছে ৫৪টি অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর। মাতারবাড়ীতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডকইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। পাশাপাশি, ফিশারি পোর্ট নির্মাণের কোনো প্রস্তাব এলে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “সমুদ্র এলাকার হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ পরিচালনা ও এ সংক্রান্ত তথ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদ নেভিগেশন ও সামুদ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভবিষ্যতে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।”
সেমিনারে বক্তারা মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, পায়রা সমুদ্রবন্দর, এলএনজি টার্মিনাল ও কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়নে হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যের অপরিহার্যতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা স্বয়ংক্রিয় ডুবোযান ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমুদ্রতল ম্যাপিং কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, জাতীয় হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।