নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ জুন ২০২৫
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আজ শুক্রবার (৬ জুন) বাংলাদেশের একাধিক জেলা ও শতাধিক গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন হাজার হাজার মানুষ। সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের পর মুসল্লিরা পশু কোরবানি করেন।
শরীয়তপুর
জেলার ৩০টি গ্রামে সুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারীরা আজ ঈদ উদযাপন করছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফে ঈদের নামাজ আদায় করেন শত শত মুসল্লি। ইমামতি করেন শাহ সুফি সৈয়দ বেলাল নূরী আল সুরেশ্বরী। তবে সেখানে কোরবানি দেওয়া হয়নি, বরং ‘মনের পশু কোরবানি’র কথা বলেন অনুসারীরা।
দিনাজপুর
বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া মাদরাসা ময়দানে সকাল ৯টায় এবং মির্জাপুরের একটি বাড়ির আঙিনায় ঈদের জামাতে ১৫টি গ্রামের মানুষ অংশ নেন। নামাজ শেষে পশু কোরবানি দেন মুসল্লিরা।
চাঁদপুর
হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানকার অনুসারীরা ১৯২৮ সাল থেকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন। জেলার ৫০টির বেশি গ্রামে লক্ষাধিক মানুষ আগাম ঈদ উদযাপন করেছেন।
ফরিদপুর
বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলায় অন্তত ১২টি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদানরা এ অঞ্চলে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করেন।
নওগাঁ
পত্নীতলার একটি গ্রামে জামাতে পোরশা, ধামইরহাট, মহাদেবপুর, সাপাহার, বদলগাছী ও জয়পুরহাট থেকে মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে পশু কোরবানি করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের মোমিন টোল ও বাগানপাড়া, শিবগঞ্জের রাধানগর ও ছিয়াত্তর বিঘি-তে আজ ঈদের জামাত হয় এবং কোরবানি দেওয়া হয়।
রাজশাহী
পুঠিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুরে কিছু পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেছে। সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মাদারীপুর
জেলার ৩০টি গ্রামে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছেন। সবচেয়ে বড় জামাত হয় সদর উপজেলার তাল্লুক গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। সুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারীরা মূলত এই এলাকায় বসবাস করেন।
ভোলা
জেলার সাত উপজেলায় ১৫টি গ্রামে প্রায় ৫ হাজার মানুষ আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
গাইবান্ধা
পলাশবাড়ী উপজেলার তালুক ঘোড়াবান্দা গ্রামে সহিহ হাদিস অনুসারীরা আজ ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এক ভবনের ছাদে।
কুড়িগ্রাম
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।