নিজস্ব প্রতিবেদক:- ঢাকা, ৩ জুন ২০২৫ (২০ জ্যৈষ্ঠ):আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, “জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সকল সংস্কারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশে সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
“আজ রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘The Code of Criminal Procedure (Amendment) Ordinance, 2025’–বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।উপদেষ্টা বলেন, “ভবিষ্যতের শাসকরা যেন কর্তৃত্ববাদী আচরণে জনগণের জীবনকে বিপন্ন করতে না পারেন, কেউ যেন মামলার জটে পড়ে সর্বস্বান্ত না হন, নাগরিক অধিকার যেন ক্ষুণ্ণ না হয়—এসব বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।
“তিনি জানান, বিভিন্ন কমিশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে শতাধিক প্রস্তাবকে আশু বাস্তবায়নযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এসব সংস্কার প্রস্তাব আগামী আগস্ট মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যে দেওয়ানি কার্যবিধি (CPC), সাইবার সুরক্ষা আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইনসহ একাধিক আইন সংশোধন করেছে। পাশাপাশি জুডিসিয়াল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গুম প্রতিরোধ আইন প্রণয়নের বিষয়ে ইতোমধ্যে দুই দফা মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা আগামী এক মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে বলে তিনি জানান।তিনি আরও উল্লেখ করেন, অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও বেশ কিছু আইনের সংশোধন সম্পন্ন হয়েছে। তবে সংবিধান সংশোধনের মতো বড় সংস্কার গুলো বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রয়োজন—এ লক্ষ্যে জুলাই চার্টার প্রস্তুতির কাজ চলছে।সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট শিশির মনির এবং অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান আলোচ্য অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারা ও উপধারা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।