এক নজরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট: সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, বাজেটের আকার কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এইবার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় কম।

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অংশ ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি নির্ধারিত হয়েছে জিডিপির ৩.৬২ শতাংশ, যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ থেকে আসবে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণ থেকে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা।

পরিচালন ব্যয় কমে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ধার্য হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১০ থেকে ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের করহার কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের করহারও কমানো হয়েছে।

করমুক্ত ব্যক্তির আয়সীমা অপরিবর্তিত রয়েছে। সাধারণ করমুক্ত আয়সীমা বছরে ৩.৫ লাখ টাকা, নারীদের জন্য ৪ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধীদের জন্য ৪.৭৫ লাখ টাকা, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ লাখ টাকা এবং ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ জন্য ৫.২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ প্রায় ৯৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১২.১৮ শতাংশ।


দাম বাড়ছে ও কমছে পণ্যের তালিকা

এইবার বেশ কিছু পণ্য ও সেবার দাম বাড়ানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কনভেনশন হল, নির্মাণ খাত, প্লাস্টিক সামগ্রী, গৃহস্থালি সামগ্রী, সিগারেট, মোবাইল ফোন, ওয়াশিং মেশিন, এলইডি লাইট, বিদেশি সবজি ও শুকনা ফল।

অন্যদিকে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্পের কাঁচামাল, এলএনজি, দেশি স্যানিটারি ন্যাপকিন, ওষুধের কাঁচামাল, হাসপাতালের বেড ও যন্ত্রাংশ, ব্যাটারি, কীটনাশক ইত্যাদি পণ্যের দাম কমানো হয়েছে।


করহার পরিবর্তন

রিসাইক্লিং শিল্পে কাঁচামালের করহার ৩% থেকে কমিয়ে ১.৫% করা হয়েছে। গ্যাস বিতরণ কোম্পানি, জ্বালানি তেল রিফাইনারি ও ইন্টারনেট সেবায় উৎস কর কমানো হয়েছে।

বিদ্যুৎ কেনার উৎসে কর কমে ৪% হয়েছে। ব্যক্তির টার্নওভার করমুক্ত সীমা বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে। মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার কর ২% থেকে কমিয়ে ১.৫% করা হয়েছে।


অর্থনীতির লক্ষ্যমাত্রা ও মূল্যস্ফীতি

২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশ রাখা হয়েছে, যা গত বছরের মতোই। চলতি বছর এপ্রিল পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ৯.১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *