কুড়িগ্রামে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ ২৮মে, কুড়িগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্পের (২য় ফেজ) অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন দপ্তরের পেশা ও শ্রমজীবী মানুষ সহ সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রংপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মোছাঃ জিলুফা সুলতানা, কুড়িগ্রাম জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মুহাঃ হুমায়ূন কবির, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুল হাসান, সাংবাদিক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, মোঃ শাহীন আহমেদ, সাইয়েদ আহমেদ বাবু, ফজলুল করিম ফারাজী, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মোঃ আবু সুফিয়ান সহ অন্যান্যরা।

লোকজ যন্ত্র কারিগর সুমন চন্দ্র বলেন, আমরা লোকজন যন্ত্র তৈরি ও সংস্কারে অর্থের অভাবে আধুনিকায়নের ব্যবস্থা করতে পারছি না বলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।আশাকরি সমাজ সেবা পাশে থাকলে পেশাটিকে ধরে রাখাসহ আমাদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক সহযোগিতা পাবো বলে জানান তিনি।

সাংবাদিক সাইয়েদ আহমেদ বাবু বলেন, জেলার সাড়ে চারশো চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বতর্মান জেলা প্রশাসক নুুসরাত সুলতানা যে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা প্রশংসনীয়। চরের যুব নারীদের নকশীকাঁথা ও শতরঞ্জিতে অন্তর্ভুক্ত করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

সেমিনারে সমাজসেবা অধিদপ্তরে আওতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে বেকার ও শ্রমজীবী নারী পুরুষের জন্য ১০ টি সফট স্কিল ট্রেডে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ও প্রকল্প বাস্তবায়নে জনমত ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

বক্তব্যে রংপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মোছাঃ জিলুফা সুলতানা বলেন,রংপুর বিভাগ বিশেষ করে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলা মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান,শিক্ষা ও কারিগরি সহায়তা প্রদান কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন,কুড়িগ্রাম জেলা সব দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। জেলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অন্যান্য জেলার মত প্ল্যান না করে কুড়িগ্রামে চর ও সমতলে আলাদা আলাদা বাজেট করে তা বাস্তবায়ন করলে জেলাবাসীর জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে বলে জানান তিনি।

বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *