কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি | ২৭ জুলাই ২০২৫
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম রসুল রাজার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও গ্রেপ্তার দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে নাগেশ্বরী পৌরসভার ঈদগাহ মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিব্বির আহমেদের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন স্থানীয়রা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত ২৩ জুলাই বেরুবাড়ী ইউনিয়নের একটি পথসভায় গোলাম রসুল রাজা বক্তব্য প্রদানকালে নাগেশ্বরী পৌরসভার বানিয়াপাড়া ও ভূষুটারী গ্রামকে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তার এমন বক্তব্যে সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, এলাকার মানুষ শান্তিপ্রিয় ও কর্মনিষ্ঠ। তারা চাকরি, ব্যবসা এবং কৃষিকাজসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এ অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক নেতার এমন হুমকি সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য।
স্থানীয় বাসিন্দা মুকুল বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই। গোলাম রসুল রাজার এমন বক্তব্য আমাদের নিরাপত্তাহীনতায় ফেলেছে।”
আরেক বাসিন্দা সৈয়দ আলী বলেন, “এলাকার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর দায় রাজাকেই নিতে হবে।”
এ সময় কয়েকজন যুবক বলেন, “গোলাম রসুল রাজাকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা এখন শিশু-কিশোরদের নিয়ে আতঙ্কে আছি।”
বিষয়টি নিয়ে গোলাম রসুল রাজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “একটি প্রসঙ্গে আবেগপ্রবণ হয়ে ওই কথা বলেছি। পরে আমি এ বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছি।”
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, “ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলহাজ্ব সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ বলেন, “বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”