শফিকুল ইসলাম শরীফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে নামজারি ও সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার নামে ২৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৭ জুলাই) এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কয়েকজন ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের অনুলিপি নবীনগর রিপোর্টার্স ক্লাবে সাংবাদিকদের হস্তান্তর করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, নুরুল আমিন সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় নামজারি ও দোকানঘর বন্দোবস্ত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১২ জন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও তিনি প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান করেননি এবং কোনো টাকা ফেরতও দেননি।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে কসমেটিকস ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, “আমার জমির দাগ নম্বর সংশোধন এবং দোকানঘর নির্মাণের অনুমতির জন্য নায়েব নুরুল আমিনের হাতে আমি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলে দিই। আমার কাছে স্বাক্ষীসহ প্রমাণ রয়েছে। চার মাস পার হয়ে গেলেও কোনো কার্যক্রম হয়নি, এমনকি টাকা ফেরতও পাচ্ছি না।”
এ ধরনের অভিযোগ করেছেন আরও ১১ জন — মেডিসিন ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া (৭ লাখ), ইলেকট্রিশিয়ান হেলাল মিয়া (১ লাখ), মো. অপু মিয়া (৫০ হাজার), শহিদুল ইসলাম (৩ লাখ ১৫ হাজার), আলী হোসেন (১ লাখ ৩০ হাজার), দলিল লেখক হারিছুল হক (২ লাখ), আমির হোসেন (৫০ হাজার), জয়নাল আবেদীন (১০ হাজার), আব্দুল মান্নান (১০ হাজার), জসিম মিয়া (১৫ হাজার)।
সব মিলিয়ে এসব ১২ জনের কাছ থেকে মোট ২৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত নুরুল আমিন গত ৫ আগস্ট থেকে সলিমগঞ্জ ভূমি অফিসে দায়িত্ব পালন করে চলতি বছরের ২৯ মে বদলি হয়ে কাইতলা ইউনিয়নে যোগদান করেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”