নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই ২০২৫) চারটি পৃথক অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে সরকারি চাকরি, রেললাইন নির্মাণ, কৃষি গবেষণা ও সাফারি পার্ক উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।
🔹 বিসিএস নিয়োগে অনিয়ম:
৩০ ও ৩১তম বিসিএসে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ ব্যতীত ৪১ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর এনফোর্সমেন্ট টিম পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। বিধি ১৬এ অনুসারে নিয়োগ কার্যক্রম সঠিক হয়েছে কিনা তা যাচাইয়ে পর্যালোচনা চলছে। প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
🔹 রেল প্রকল্পে কোটি টাকার ক্ষতি:
ঢাকা-যশোর রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে উচ্চতা কমিয়ে মাটি ভরাটের পরিমাণ কমিয়ে কাজ করেও ঠিকাদারকে পুরো বিল পরিশোধ করা হয় বলে এনফোর্সমেন্ট টিমের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ। এতে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও অডিট আপত্তি রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য চাহিদাপত্র প্রদান করা হয়েছে।
🔹 কন্দাল ফসল গবেষণায় দুর্নীতি:
বগুড়ার কন্দাল ফসল গবেষণা উপ-কেন্দ্রে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে ধান বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযানে নামে জেলা দুদক। অভিযানে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ও গবেষণা প্লট পরিদর্শনসহ রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়।
🔹 সাফারি পার্ক উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম:
কক্সবাজারের ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে সরেজমিন তদন্ত চালায় দুদক। প্রকল্প অফিস, ফরেস্টার ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে অবশিষ্ট নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
দুদক জানায়, সব অভিযানের তথ্য ও রেকর্ড বিশ্লেষণ শেষে কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।