নিজস্ব প্রতিবেদক। ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৫:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট আজ দেশের চারটি স্থানে পৃথক চারটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
🔹 অভিযান ১: কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অনিয়ম
বাগেরহাটের রামপাল ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মী নিয়োগ, অর্থপাচার এবং যন্ত্রপাতি ও সেবার ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)-এর প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম বাংলাদেশি ও বিদেশি কর্মীদের তথ্য, বেতন সংক্রান্ত পে-স্লিপ, চুক্তিপত্র ও অন্যান্য রেকর্ড সংগ্রহ করে। প্রাথমিকভাবে কিছু অসম চুক্তির চিত্র ধরা পড়েছে।
🔹 অভিযান ২: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১৭ কোটি টাকার ওষুধ বিল কেলেঙ্কারি
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীন একটি প্রকল্পে পশু-পাখির ওষুধ ও মিনারেল সরবরাহ না করেই ১৭ কোটি টাকা বিল পরিশোধের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকার নাজিরাবাজার এলাকার একটি স্টোর ঘরে সরেজমিন পরিদর্শন করে মজুদকৃত মালামালের সঙ্গে বিল মিলিয়ে দেখা হয়। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যও নেয়া হয়েছে।
🔹 অভিযান ৩: রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেল নির্মাণে অনিয়ম
টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নথিপত্র পর্যালোচনায় অসংগতি ধরা পড়ে। অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করা হয় এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়।
🔹 অভিযান ৪: যশোরে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় এলজিইডির একটি রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে অভিযান পরিচালিত হয়। ‘কাশিমপুর ওয়াপদা থেকে গৌরীঘোনা ঈদগাহ পর্যন্ত’ ২.৪৫ কিমি সড়কটির কাজ নির্ধারিত মেয়াদে শেষ হয়নি এবং ইট-খোয়া ও বালির অনুপাতে গড়মিল দেখা যায়।
প্রতিটি অভিযানের রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের এসব অভিযান কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।