নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকার ভাটারা থানা এলাকায় এক তরুণীর রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকারীকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভাটারা থানা।
সোমবার (৭ জুলাই ২০২৫) রাত আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার সোনামুড়া এলাকা থেকে নিহত তরুণীর স্বামী কামরুজ্জামান (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়।
ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুলাই সকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ জানতে পারে যে খিলবাড়িরটেক এলাকার একটি ৬তলা ভবনের ৪র্থ তলার পূর্ব পাশের ইউনিটে এক তরুণীর মরদেহ পড়ে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিহত তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়—তার নাম তামান্না আক্তার। তার মা মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তামান্না ও কামরুজ্জামান প্রায় তিন বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে নানা টানাপোড়েন চলছিল। গত ৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে তারা ভাটারার খিলবাড়িরটেক এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। সেদিন রাতেই পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে কামরুজ্জামান স্ত্রীকে গলা টিপে ও বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।
জানা যায়, মামলার পর ভাটারা থানা পুলিশ দ্রুত গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।